আজকে আমরা কথা বলবো টাইম ম্যানেজমেন্ট করার উপায় নিয়ে। টাইম ম্যানেজমেন্ট করা খুব সহজ কাজ নয়। টাইম ম্যানেজমেন্ট করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে না পারলে প্রতিদিনের কাজগুলো ঠিকমতো করা যায় না এবং নানান সমস্যা হয়ে থাকে। তো চলুন দেরি না করে টাইম ম্যানেজমেন্ট করার উপায় নিয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
টাইম ম্যানেজমেন্ট করার উপায়? টাইম কে আসলে ম্যানেজ করা যায় না আমাদের নিজেদেরকে ম্যানেজ করতে হয় যাতে আমরা টাইম এর সঠিক ব্যবহারটা করতে পারি। মানে এমন একটি জিনিস করতে হবে যাতে আমরা সময়মতো কাজ করতে পারি।
প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে 123 এভাবে পরের দিন কি কি করবেন এগুলো লিখে রাখুন। যাতে পরের দিন কি কি করতে হবে ঘুম থেকে উঠে আপনি দেখতে পারেন বা মনে পড়ে। এবং যখনই যে কাজটা করবেন সেটি লিষ্ট থেকে কেটে ফেলবেন। এই যে আপনি যেই কাজটি শেষ করবেন সেটি যখন লিষ্ট থেকে কেটে ফেলবেন তখন আপনি একটি আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। এবং পরের কাজটি করার আগ্রহ বেড়ে যাবে।
কাজ করার সময় ছোট ছোট গোল সেট করুন। মানে তোমার পছন্দের কাজ সেট করো সেটা হোক খাওয়া দাওয়া কিংবা খেলা ধুলা। ভাবছেন কিভাবে করবেন আমি বলে দিচ্ছি। মনে করেন এখন আপনি বিশ মিনিট আপনার হোমওয়ার্ক করবেন কিংবা একটি অংক করবেন এখন আপনি একটি এলার্ম সেট করুন যেটা ২০ মিনিট পর বেজে উঠবে। এখন আপনি মাথায় রাখবেন যে ২০ মিনিট শেষ হলে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি করতে পারবেন। যখন এটি মাথায় রাখবেন যে এই কাজটি শেষ করে আমি আমার পছন্দের কাজটি করতে পারব তখন দেখবেন কাজের আগ্রহটি বেড়ে যাবে।
আপনার যদি একই কাজ অনেকদিন ধরে বারবার করতে হয় মানে একদিনে একবার কিন্তু আপনার প্রতিদিন করা লাগবে এই কাজের সময়গুলোকে অভ্যাসে পরিণত করুন। মানে আপনি যদি অভ্যাসে পরিণত করেন তাহলে আপনার ওই সময়ে ওই কাজটি দেখবেন অটোমেটিক করে ফেলছেন। আর এতে আপনার কোন খারাপ লাগবে না কিংবা অন্য কোন কাজ করতে মন চাইবে না।
অভ্যাসগুলো আস্তে আস্তে পরিবর্তন করুন। কারণ একবারে অল্প সময়ে অভ্যাস পরিবর্তন হয় না। অভ্যাস পরিবর্তন হতে সময় লাগে। ধরুন আপনি ঠিক করলেন সকাল ছয়টায় ঘুম থেকে উঠবেন এবার প্রতিদিন আপনি যদি আটটা নয়টার দিকে ঘুম থেকে উঠে থাকেন তাহলে আপনি প্রথম কয়েকদিন সঠিক সময় উঠতে পারবেন না কারণ আপনার অভ্যাস নাই। কয়েকদিন আপনাকে এলার্ম দিয়ে উঠতে হবে। বেশ কয়েকদিন এলার্ম ব্যবহার করার পর দেখবেন আপনি অটোমেটিক ঠিক সময়ে উঠতে পারছেন এলার্ম ব্যবহার ছারায়। কারণ তখন আপনার সেটি অভ্যাস হয়ে যাবে।
এভাবে করে এক এক করে প্রতিদিন যে কাজগুলো করা লাগে কাজের সময়ের সাথে মিলিয়ে সেগুলোকে অভ্যাস করে ফেলুন। তাহলে আপনি টাইমের সঠিক ব্যবহারটি করতে পারবেন। মানে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন।
এই ছিল টাইম ম্যানেজমেন্ট করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। যদি আপনার এই বিষয়গুলো জানার পর উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে বলে দিন। এবং এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিন যাতে আপনার বন্ধুরা জেনে উপকৃত হতে পারে।